বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলি

“বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ” কবিতা থেকে ৩০টি শব্দার্থের পাশে সহজবোধ্য ইমোজি সিম্বল যুক্ত করে দিলাম, যাতে শিক্ষার্থীরা দ্রুত মনে রাখতে পারে:

  1. অরিন্দম – অপরাজেয় 🛡️🔥
  2. রক্ষপুর – রাক্ষসদের নগরী 🏰👹
  3. নিকষা – বিশুদ্ধ, খাঁটি 💎
  4. সহোদর – সহোদয় ভাই 👬
  5. শূলিশম্ভুনিভ – ত্রিশূলধারী শিব 🕉️🔱
  6. কুম্ভকর্ণ – বিশালাকার রাক্ষস 😴💤👺
  7. বাসববিজয়ী – ইন্দ্রজয়ী ⚔️⚡
  8. তস্কর – চোর 🕵️‍♂️🔓
  9. চণ্ডাল – সমাজে ঘৃণিত ব্যক্তি 🚫🧟
  10. অস্ত্রাগার – অস্ত্রের ঘর 🗡️🏹🧰
  11. শমন-ভবন – মৃত্যুর স্থান ⚰️🏚️
  12. ধীমান – জ্ঞানী 🧠📘
  13. রাঘবদাস – রামের দাস 🙏🕉️
  14. বিধুর – বিষণ্ন 😞🌧️
  15. শশী – চাঁদ 🌕
  16. শৃগাল – শেয়াল 🦊
  17. মিত্রভাবে – বন্ধুত্বপূর্ণ 🤝😊
  18. অজ্ঞ – মূর্খ 🙈❓
  19. অস্ত্রহীন – নিঃঅস্ত্র 🙌🛑
  20. সম্বোধে – সম্মুখে ⚔️👁️
  21. মহারথী – মহাযোদ্ধা 🛡️🐘
  22. দৈব-দৈত্য-নর – দেবতা-দানব-মানব 🧞🧙🧑
  23. নিকুম্ভিলা – যজ্ঞস্থান 🔥🛕
  24. প্রগল্ভে – সাহসের সঙ্গে 💪😤
  25. শাস্তি – সাজা 🔨⚖️
  26. নন্দন-কানন – স্বর্গোদ্যান 🌸🌈
  27. প্রফুল্ল – বিকশিত 😊🌼
  28. কীটবাস – পোকাদের বসবাস 🐛🏚️
  29. মহামন্ত্র-বলে – অলৌকিক শক্তি 🧿🌀
  30. কালসলিল – সময়ের ভয়াল স্রোত ⏳🌊

 

 পরীক্ষা উপযোগী আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত (জ্ঞানমূলক) প্রশ্নোত্তর

 ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতাটি নেয়া হয়েছে—মেঘনাবধ কাব্যের ৬ষ্ঠ সর্গ ‘বধো’ (বধ) থেকে।
 মেঘনাদবধ কাব্যের মোট সর্গসংখ্যা—৯টি।
 ভ্রাতা ক¥্ভুকর্ণ ও জ্যেষ্ঠ পুত্র বীরবাহুর মৃত্যুর পর রাবণ তার যুদ্ধের সেনাপতি করেন—কনিষ্ঠ পুত্র মেঘনাদকে।
 যুদ্ধজয় নিশ্চিত করার জন্য মেঘনাদ মনস্থির করল—নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে
 শত শত প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ল²ণ ফাঁকি দিয়ে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়—মায়াদেবীর আনুকূল্যে।
 শত শত প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ল²ণ নিকুম্ভিরা যজ্ঞাগারে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়—রাবণের অনুজ বিভীষণের সহায়তায়।
 নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ল²ণ মেঘনাদের কাছে প্রার্থনা করে—যুদ্ধের।
 নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে মেঘনাদ ল²ণের কাছে প্রার্থনা করে—যুদ্ধসাজ গ্রহণ করতে সময় দেয়ার জন্য।
 নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারের প্রবেশদ্বারে মেঘনাদ দেখতে পায়—বিভীষণকে
 এ কবিতায় মাতৃভাষা প্রতি প্রকাশিত হয়েছে—ভালোবাসা।
 এ কবিতায় বিশ্বাসঘাতকতা ও দেশদ্রোহিতার বিরুদ্ধে প্রকাশিত হয়েছে – ঘৃণা।
 এ কবিতায় জ্ঞাতিত্ব, ভাতৃত্ব ও জাতিসত্তার সংহতির বিরুদ্ধে পরিচালিত ষড়যন্ত্রকে অভিহিত করা হয়েছে—নীচতা ও বর্বরতা বলে।
 রাম রাবণের যুদ্ধে স্বপক্ষ ত্যাগকারী—বিভীষণ।
 শাস্ত্রমতে গুণহীন হলেও শ্রেয়—র্নিগুণ স্বজন।
 রথ চালনার মাধ্যমে যুদ্ধ করে যে তাকে বলে—রথী।
 লঙ্কাপুরীতে মেঘনাদের যজ্ঞস্থানের নাম—নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগার।
 তাত শব্দের আক্ষরিক অর্থ—পিতা।
 কবিতায় ‘তাত’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে—পিতৃব্য / চাচা অর্থে।
 অরি বা শত্র“কে যে দমন করে তাকে বলা হয় – অরিন্দম।
 মেঘনাদ লঙ্কাকে তুলনা করেছে—প্রফুল­ কমলের সাথে।
 মেঘনাদ লঙ্কায় ল²ণের প্রবেশকে তুলনা করেছে—প্রফুল­ কমলে কীটবাসের সাথে।
 ‘নহি দোষী আমি, বৎস ; বৃথা ভর্ৎস মোরে’—মেঘনাদের কথার প্রেক্ষিতে বিভীষণ একথাটি বলেছে—মলিনবদনে।
 ‘পরদোষে কে চাহে মজিতে?’- এখানে ‘পরদোষে’ দ্বারা বিভীষণ বুঝিয়েছে—রাবণের দোষের কথা।
 লঙ্কাপুরী পরিপূর্ণ—পাপ দ্বারা।
 বিভীষণের নিজ পক্ষ ত্যাগ করে রামের পক্ষ অবলম্বন করাকে মেঘনাদ আখ্যায়িত করেছে—বর্বরতা বলে।
 ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতাটিতে যতি চিহ্নের ব্যবহার হয়েছে—স্বাধীনভাবে/ বক্তব্যের অর্থের অনুষঙ্গে।
 ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতাটি ছন্দের বিশেষ লক্ষণ—ভাব প্রকাশের প্রবহমানতা।
 পিতৃব্যের ষড়যন্ত্রকে মেঘনাদ আখ্যায়িত করেছে—নীচতা ও বর্বরতা হিসেবে।

 

 

📘 কবিতার ছন্দ বিশ্লেষণ

কবিতার নাম: বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ
কবি: মাইকেল মধুসূদন দত্ত

🔶 ছন্দের নাম: অমিত্রাক্ষর ছন্দ (Blank Verse)

📌 সংজ্ঞা:

অমিত্রাক্ষর ছন্দ হলো এমন এক প্রকার ছন্দ, যেখানে চরণে নির্দিষ্ট মাত্রা ও তাল থাকলেও কোনো অন্ত্যমিল থাকে না। এই ছন্দে কবিতার ধারা গদ্যের মতো এগোলেও তা একটি ছন্দোবন্ধ কাঠামোর ভেতরে থাকে।

 

🔍 উদাহরণ লাইন:

“এতক্ষণে”—অরিন্দম কহিলা বিষাদে,
“জানিনু কেমনে আসি লক্ষ্মণ পশিল
রক্ষপুরে! হায়, তাত, উচিত কি তব
এ কাজ? নিকষা সতী তোমার জননী!

🔶 ছন্দ বিশ্লেষণ:

  • কবিতাটি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত, যেখানে অন্ত্যমিল নেই, কিন্তু প্রতিটি চরণে একটি নিয়ন্ত্রিত মাত্রা ও ছন্দ বজায় আছে।
  • চরণগুলি সাধারণত ১০-১২ মাত্রার মধ্যে থাকে।
  • প্রতিটি চরণে একটি নাটকীয় গতি ও অনুভব তৈরি হয়, যা কবিতার সংলাপধর্মী রূপকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
  • কবিতাটি গদ্যের মতো সহজবোধ্য হলেও, তাতে মার্জিত ছন্দের ব্যবহার লক্ষ করা যায়।

🔶 এই ছন্দের বৈশিষ্ট্য:

বৈশিষ্ট্য বর্ণনা
⏳ অন্ত্যমিলহীন চরণগুলির শেষে কোনো মিল নেই
📏 সিলেবিক নিয়ন্ত্রণ চরণগুলি প্রায় একই সিলেবল বা মাত্রা অনুসরণ করে
🎭 গদ্যরীতি কিন্তু ছন্দবদ্ধ পাঠে মনে হয় গদ্য, কিন্তু তাতে ছন্দের সুশৃঙ্খলতা বজায় থাকে
⚔️ নাটকীয়তা নাট্যকবিতায় এই ছন্দ নাটকীয় গতি ও দ্বন্দ্ব তৈরি করে
💬 সংলাপভিত্তিক চরিত্রের সংলাপের জন্য এই ছন্দ অত্যন্ত উপযোগী

একথায়-

“বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ” কাব্যাংশটি ছন্দ বিশ্লেষণে দেখা যায় এটি ১৪ মাত্রার প্রবহমান যতিস্বাধীন অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত। পংক্তির রচনান্তে মিল না থাকায় এর পর্ব অমিত্রাক্ষর ছন্দের অভিধান পেয়েছে। এ প্রতিটি পংক্তি বা চরণ ৮ ও ৬ মাত্রায় দুটি পর্বে বিভক্ত হয়ে মোট ১৪টি মাত্রায় রচিত হয়েছে। এখানে যে শুধু অন্ত্যমিল রক্ষিত হয়নি তাই নয়, বিরামচিহ্ন ব্যবহারেও স্বাধীন হয়েছেন কবি। তিনি বিরামচিহ্ন ব্যবহারে বক্তব্যের অর্ধেকে বা স্পষ্টতাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। যার ফলে ভাব প্রকাশের প্রবহমানতা কবিতাংশে ছন্দের বিশেষ লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়।

“বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ” কাব্যাংশটি ১৪ মাত্রার অমিল প্রবহমান যতিস্বাধীন অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত। প্রথম পংক্তির সঙ্গে দ্বিতীয় পংক্তির চরণান্তের মিলনহীনতার কারণে এ ছন্দ ‘অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ নামে সমধিক পরিচিত। এ কাব্যাংশের প্রতিটি ১৪ মাত্রায় এবং (৮ + ৬) মাত্রার দুটি পর্বে বিন্যস্ত। লক্ষ করার বিষয় যে, এখানে দুই পংক্তির চরণান্তিক মিলই কেবল পরিহার করা হয়নি, যতিপাত বা বিরামচিহ্নের স্বাধীন ব্যবহারও হয়েছে বিষয় বা বক্তব্যের অর্থের অনুষঙ্গে। এ কারণে ভাবপ্রকাশের প্রবহমানতাও কাব্যাংশটি ছন্দের বিশেষ লক্ষণ হিসেবে বিবেচ্য।

🖋️ কবির অবদান:

মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রয়োগ করেন এবং বাংলা মহাকাব্যিক কবিতায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন। “বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ” কবিতাটি তার সেই চেষ্টার একটি সফল উদাহরণ।

 জেনে রাখা দরকার

অরিন্দম-মেঘনাদের উপাধি।
 রক্ষ:পুর বলতে বুঝানো হয়েছে-লঙ্কাপুরকে।
মেঘনাদের রাজ্যের নাম-লঙ্কাপুর।
মেঘনাদের বাবার নাম-রাবণ।
মেঘনাদের চাচার নাম-বিভীষণ।
রাবনের মায়ের নাম-নিকষা।
রামানুজ হলো লক্ষণ-(রামের ছোট ভাই)
লক্ষণের মায়ের নাম সুমিত্রা।
 সৌমিত্রি বলতে বুঝানো হয়েছে-লক্ক্ষ্ণকে।

 

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন (Knowledge-Based Questions):

  1. “বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ” কবিতাটির রচয়িতা কে?
  2. মেঘনাদ কোন রাজ্যের যুবরাজ ছিলেন?
  3. বিভীষণ কার ভাই?
  4. রাবণ ও মেঘনাদের সম্পর্ক কী?
  5. কবিতাটির প্রধান দুটি চরিত্র কে কে?
  6. মেঘনাদ কার প্রতি ক্ষুব্ধ?
  7. বিভীষণ কাকে “পিতৃতুল্য” বলে সম্বোধন করে?
  8. মেঘনাদ কাকে “অধম রাম” বলে উল্লেখ করে?
  9. “নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে” বাক্যে কোন স্থানের উল্লেখ আছে?
  10. মেঘনাদ কোন দেবতার তুলনায় কুম্ভকর্ণকে স্মরণ করে?
  11. “রাঘবদাস” বলতে কে বোঝানো হয়েছে?
  12. কবিতায় “শূলিশম্ভু” কার প্রতীক?
  13. “বাসববিজয়ী” শব্দের অর্থ কী?
  14. কবিতায় “স্বচক্ষে দেখেছে রক্ষঃশ্রেষ্ঠ” কথাটি কার প্রতি বলা হয়েছে?
  15. বিভীষণের মতে, কেন তিনি রামের শরণাপন্ন হয়েছেন?
  16. কবিতায় “শশী যান গড়াগড়ি” দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে?
  17. “রাক্ষসরাজানুজ” বলতে কে বোঝানো হয়েছে?
  18. বিভীষণের মতে, লঙ্কার কী অবস্থা হয়েছে?
  19. মেঘনাদ “ধর্মপথগামী” কাকে বলেছে?
  20. মেঘনাদ কোন শাস্ত্রীয় নীতির বিরোধিতা করে?

 

 

 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন (Comprehension-Based Questions):

  1. মেঘনাদ বিভীষণের প্রতি এত ক্রুদ্ধ কেন?
  2. বিভীষণের পক্ষ অবলম্বনের মধ্যে মেঘনাদ কোন বিশ্বাসঘাতকতা দেখেন?
  3. মেঘনাদ তার বক্তব্যে কীভাবে রামের অবমূল্যায়ন করেন?
  4. “তুমিও, হে রক্ষোমণি, সহিছ কেমনে?” — এ প্রশ্নে মেঘনাদের কষ্টের প্রকাশ কীভাবে ধরা পড়ে?
  5. বিভীষণের যুক্তি অনুযায়ী তিনি কেন রামের শরণ নেন?
  6. কবিতার ভাষায় মেঘনাদের আত্মমর্যাদাবোধ কতটা প্রবল?
  7. “কিন্তু নাহি গঞ্জি তোমা” — বাক্যাংশে মেঘনাদের দ্বিধা কীভাবে প্রতিফলিত?
  8. কবিতায় ধর্ম এবং কুলমর্যাদার মধ্যে দ্বন্দ্ব কোথায় স্পষ্ট?
  9. “পড়ি কি ভূতলে শশী যান গড়াগড়ি” — এই উপমা দ্বারা মেঘনাদ কী বোঝাতে চান?
  10. কবিতায় ‘নন্দন কানন’ এবং ‘দুরাচার দৈত্য’— এই বিপরীত চিত্র কী বোঝায়?
  11. মেঘনাদ কি কেবল রাগে বিভীষণকে দোষ দিচ্ছেন, নাকি তার অন্য মানসিক সংকটও রয়েছে?
  12. কবিতায় মেঘনাদের দেশপ্রেম কতটা প্রকাশ পেয়েছে?
  13. বিভীষণ তার সিদ্ধান্তকে কীভাবে ধর্মসম্মত হিসেবে ব্যাখ্যা করেন?
  14. “বৃথা গঞ্জি তোমা!” — এর পেছনের আবেগগত দিকটি কী?
  15. কবিতাটি কীভাবে লঙ্কার রাজনৈতিক ও নৈতিক সংকট তুলে ধরে?
  16. “রাবণ-আত্মজ” হিসেবে মেঘনাদ নিজেকে কীভাবে তুলে ধরেন?
  17. কবিতায় ব্যবহৃত ভাষা এবং অলংকার কেমন ধরনের আবেগ সৃষ্টি করে?
  18. বিভীষণের যুক্তি কি পাঠকের সহানুভূতি জাগাতে সক্ষম?
  19. মেঘনাদ কি কেবল এক দেশপ্রেমিক, নাকি একজন দার্শনিক?
  20. কবিতাটিতে দ্বন্দ্ব ও বেদনার প্রতিচ্ছবি কতটা গভীর?

✅ বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন: (Creative Questions):

 

সৃজনশীল প্রশ্ন ১: হাজার হজার সৈন্য যুদ্ধক্ষেত্রে পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে থাকে। মোহনলাল ও মিরমর্দান প্রাণপণে যুদ্ধ করেও মিরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার কাছে পরাজিত হয়। ব্রিটিশ সৈন্যরা অনায়াসেই বাংলা দখল করে নেয়। এভাবেই ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন বাংলার স্বাধীনতার অবসান ঘটে।
ক. সৌমিত্রি কে?
খ. “হায় তাত, উচিত কি তব এ কাজ?’—কে, কেন এ উক্তিটি করেছিল?
গ. উদ্দীপকের মিরজাফর ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে? তুলনামূলক আলোচনা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের মূলভাব ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ” কবিতার মূলভাবের সাথে আংশিক সামঞ্জস্যপূর্ণ”থথ উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২: বাবার ব্যবসায় দুর্দিন দেখা দিলে বড়ো ছেলে বাবার ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষের সাথে হাত মেলায় ভবিষ্যতের আশায়। ছোটো ছেলে বাবার ব্যবসায়িক দুর্দিন কাটানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে বড়ো ভাইকে বাবার পাশে থাকার অনুরোধ করে, কিন্তু বড়ো ছেলের অভিযোগ—বাবার একগুয়ে মনোভাব আর ভুল সিদ্ধান্তের কারণে পারিবারিক ব্যবসা ডুবতে বসেছে। তার ব্যর্থতার দায়ভার আমি নেব কেন? বড়ো ভাইয়ের সমর্থন না পেয়ে সুদিন ফিরিয়ে আনতে একা সংগ্রাম চালিয়ে যায় ছোটো ছেলে।
ক. বাসবত্রাস কে?
খ. “লঙ্কার কলঙ্ক আজ ভঞ্জিব আহবে” দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের ছোটো ছেলে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ” কবিতার কোন চরিত্রের অনুরূপ? কীভাবে?
ঘ. উদ্দীপকের বড়ো ছেলে এবং ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ” কবিতার বিভীষণের আচরণ ভিন্ন উদ্দেশ্যপ্রসূত”—মন্তব্যটি বিবেচনা কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩: ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তÍমিত হয়েছিল যাদের বিশ্বাসঘাতকতায় তাদের অন্যতম প্রধান সেনাপতি মীরজাফর প্রধান সেনাপতি হয়েও সে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। শুধু মীরজাফরই নয়; রাজবল্লভ, রায়দুর্লভ, উমিাদ, জগৎশেঠও যুদ্ধে চরম অসহযোগিতা করেছে। কিন্তু মোহনলাল ও মীরমর্দান বাঙালি জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন এবং জীবন দিয়েছেন। পক্ষান্তরে মীরজাফর এবং তার দোসররা বাঙালি জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং জাতিকে প্রায় ২০০ বছর ইংরেজদের গোলামি করতে বাধ্য করেছে।
ক. ‘বিধু” শব্দের অর্থ কী?
খ. “চÐালে বসাও আনি রাজার আলয়ে?’থ চরণটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিশ্বাসঘাতকতা ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ” বিষয়বস্তু কিভাবে প্রতিফলিত হয়েছে? আলোচনা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আংশিক রূপায়ণ মাত্র”—তোমার মতামতসহ উক্তিটি বিচার কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪: ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে পাক হানাদার বাহিনী বাংলার নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এতে দখলদার পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করেছিল এ দেশীয় দোসর ঘরের শত্রæ রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনী। যদিও যুদ্ধের নীতিতে নিরস্ত্র মানুষ হত্যা কাপুরুষোচিত।
ক. ‘অরিন্দম’ কে?
খ. ‘স্থাপিলা বিধুরে বিধি স্থাণুর ললাটে’ কথাটি বুঝিয়ে দাও ।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত রাজাকার, আল-বদর বাহিনী এবং কবিতায় বর্ণিত বিভীষণের ভূমিকার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “নিরস্ত্র মানুষ হত্যা কাপুরুষোচিত’ উদ্দীপক ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আলোকে উক্তিটি বিচার কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫: রুমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এক তরুণ। সামনে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। এমন সময় দেশে শুরু হয়ে গেল মুক্তিযুদ্ধ। এ যেন বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। দেশের এমন অবস্থায় চুপ করে বসে থাকেনি রুমি। দেশমাতৃকার আহŸানে সাড়া দিয়ে সে যোগ দেয় মুক্তিযুদ্ধে। প্রাণপণ যুদ্ধ করে হানাদারদের বিরুদ্ধে ।
ক. মাইকেল মধুসূদন দত্ত কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
খ. “পরদোষে কে চাহে মজিতে?”—উক্তিটি বুঝিয়ে লিখ।
গ. উদ্দীপকের রুমির মধ্যে “বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশের কোন বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি “বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশের সমগ্র ভাব ধারণ করে কী? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬: স্বাধীনতার অগ্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এ দেশের আপামর জনতা। যুদ্ধের বীর সেনানীদের শের, বীর্য, সাহসিকতা, কর্তব্যনিষ্ঠা দেশপ্রেম ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীরযোদ্ধারা জীবনের বিনিময়ে আমাদের দিয়ে গেলেন লাল সবুজের পতাকা ।
ক. লক্ষ¥ণের মায়ের নাম কী?
খ. প্রফুল্ল কমলে কীটবাস?’—উক্তিটি বুঝিয়ে দাও।
গ. উদ্দীপকে মুক্তিযোদ্ধাদের কোন বৈশিষ্ট্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মেঘনাদের চরিত্রে ফুটে ওঠে? আলোচনা কর।
ঘ. “দেশপ্রেম প্রকৃত বীরের ধমর্”—উদ্দীপক ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতা অনুসরণে বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭: প্রাচীন গ্রিস প্রজাতন্ত্রী নগর রাষ্ট্র ছিল। জুলিয়াস সিজার একজন সফল সেনাপ্রধান ছিলেন। কালক্রমে জুলিয়াস সিজার একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। তার এ নীতির সমর্থন দেন তার স্নেহ ভাজন বুটাস। পরবর্তীতে সিনেটররা রাষ্ট্রের কল্যাণার্থে সিজারকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে। বুটাস তখন ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে যোগ দেয়। নিরস্ত্র সিজারকে সিনেটররা একের পর এক ছুরিকাঘাত করতে থাকে। যখন তার প্রিয় বুটাস তাকে ছুরিকাঘাত করে তখন সিজার হতবাক হয়ে বলে, “বুটাস, তুমিও?”
ক. “সৌমিত্রি’ কে?
খ. “নাহি শিশু লঙ্কাপুরে শুনি না হাসিবে এ কথা।’—কোন কথা? বুঝিয়ে লিখ।
গ. উদ্দীপকে প্রকাশিত বুটাসের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের “বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় প্রকাশিত বিভীষণের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের তুলনা কর।
ঘ. প্রমাণ কর, ‘কিছুটা মিল থাকলেও সিজার মেঘনাদের প্রতিনিধি নয়।’—বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮: ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালোরাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেছিল রাজাকার-আলবদররা ।
ক. ‘প্রগলভে’ শব্দের অর্থ কী?
খ. “স্থাপিলা বিধুরে বিধি স্থানুর ললাটে”—বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত রাজাকারের ভূমিকার সাথে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার কোন চরিত্রের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “নিরস্ত্র মানুষ হত্যা কাপুরোষিত” ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আলোকে পর্যালোচনা কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৯: সমন্ত দুর্বলতা ঝেড়ে ফেলে আপনারা ভেবে দেখুন কে বেশি শত্তিমান? একদিকে দেশের সমস্ত সাধারণ মানুষ—অন্যদিকে মুষ্টিমেয় কয়েকজন বিদ্রোহী । তাদের হাতে অস্ত্র আছে, আর আছে ছলনা এবং শঠতা। অস্ত্র আমাদেরও আছে, কিন্তু তারচেয়ে যা বড়ো, সবচেয়ে যা বড়ো আমাদের আছে সেই দেশপ্রেম এবং স্বাধীনতা সংকল্প।
ক. রাজহংস কোথায় কেলি করে?
খ. মেঘনাদকে অরিন্দম বলা হয়েছে কেন? —বুঝিয়ে লেখ ।
গ. উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার সাথে কিভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার স্বর্ণালঙ্কার প্রতি মেঘনাদের অনুরাগ একসূত্রে গাঁথা। মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০: পৃথিবীর প্রতিটি দেশে ও সমাজে যতই ন্যায়ধর্ম, ক্ষাত্রধর্ম, মানবিকতা, যুক্তিবাদ-এর আদর্শের কথা বলা হোক না কেন! —এগুলোর বাস্তব প্রকাশ বা কার্যক্রম খুঁজে পাওয়া দুর্লভ। সর্বত্র বিশ্বাসঘাতকতা, কুটকৌশল, অন্যায়-অত্যাচার আর মিথ্যার জয়-জয়কার ৷
ক. মেঘনাদ কেন বিভীষণকে তিরস্কার করতে চান না?
খ. নিজেকে রামচন্দ্রের দাস বলায় মেঘনাদ বিভীষণকে কী কী বিষয় স্মরণ করিয়ে দেয়? তা লেখ।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বক্তব্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশের সাথে কী সাদৃশ্য বহন করে? বিশ্লেষণ কর।
ঘ. “সর্বত্র বিশ্বাসঘাতকতা, কুটকৌশল, অন্যায়-অত্যাচার আর মিথ্যার জয়-জয়কার।’— উক্তিটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ” কবিতাংশের আলোকে মূল্যায়ন কর।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *