ভালো খাদ্যাভ্যাস গড়ার ১৬টি টিপস!

 

যে অভ্যাসগুলো সামাজিক ও স্বাস্থ্য সম্মত তাই ভালো অভ্যাস। জীবনধারণের জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে ভালো অভ্যাস প্রয়োজন। এই ভালো অভ্যাস গুলোর মধ্যে ১ টি হল ভালো খাদ্য অভ্যাস। ভালো খাদ্য অভ্যাস বলতে শুধু ভালো ভালো খাবার খাওয়াকে বুঝায় না। ভালো খাদ্যাভ্যাস বলতে বোঝায় যা স্বাস্থ্যসম্মত, যা ১টি পরিবারের নীতিগত দিকের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এই অভ্যাসগুলোই কিন্তু আমাদের শরীরের সুস্থতার সাথে সাথে মনকে প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে। তবে খাদ্যাভ্যাস কে উত্তম করতে চাইলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

১. প্রতিটি ব্যক্তির বয়স অনুযায়ী খাবার গ্রহণের ১টি সঠিক পরিমান থাকে। সকলের উচিত পরিমান মত খাবার গ্রহণ করা। পরিমানের চেয়ে বেশি বা কম খাবার কোনটাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

২. ঠিক সময় মত খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিন একই সময় খাবার গ্রহণ করা উচিত। তা হলে ঐ একই সময়ে আমদের মস্তিস্ক আমাদের খাবারের কথা জানান দিবে।

৩. সকালে একটু ভারী খাবার, দুপুরে ও রাতে হালকা খাবার গ্রহণ করা উচিত। রাতে ভারী খাবার খেলে তাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

৪. রাতে ঘুমানোর ৩-৪ ঘণ্টা আগে খাবার খাওয়া উচিত। একবারে অনেক খাবার গ্রহণ না করে অল্প অল্প করে খাবার গ্রহণ করা উচিত।

৫. খাবার প্রস্তুত ও গ্রহণের সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতে হবে।

৬. মৌসুমি ফল বেশি গ্রহণ করতে হবে।

৭. যে খাদ্য যে এলাকায় সহজলভ্য সে খাবার দিয়ে দৈনিক খাদ্যের তালিকা তৈরি করতে হবে।

৮. প্রতিদিন খাদ্যের ৫ টি মৌলিক গোষ্ঠী থেকে খাবার থাকতে হবে।

৯. খাদ্যের পুষ্টিমূল্য ঠিক রেখে রান্না করা ও সঠিক নিয়মে সংরক্ষণ করতে হবে।

১০. বেশি মসলা ও চর্বি যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।

১১. খাদ্যে যেন বৈচিত্র্য থাকে, অর্থাৎ প্রতিদিন একই ধরনের খাবার বিরক্তির কারণ হতে পারে। তাই খাবারের মেন্যু পরিবর্তন করতে হবে।

১২. খাদ্যের রঙ যথাসম্ভব পরিবর্তন না করে আকর্ষণীয় খাদ্য প্রস্তুত করতে হবে। তাহলে খাবারের প্রতিও আকর্ষণ বাড়বে।

১৩. প্রচুর পরিমানে হলুদ, সবুজ শাক সবজি এবং সেই সাথে ফল খেতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২ টি ফল গ্রহণ করতে হবে।

১৪. প্রতিদিন অন্তত ১ বেলা, পারলে ২ বেলা প্রানীজ প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত।

১৫. অতিরিক্ত চা কফি বর্জন করা ভালো।

১৬. বাইরের ও রাস্তার খাবার পরিহার করতে হবে।

সর্বোপরি খাবারের সাথে ব্যায়াম সম্পর্কযুক্ত। তাই কম কম করে হলেও প্রতিদিন ১ ঘণ্টা করে  হাঁটতে হবে। এই খাদ্যাভ্যাস গুলো সবার জন্য জরুরী। কিন্তু মানুষের এলাকা এবং শ্রেণী অনুযায়ী অভ্যাসগুলো পরিবর্তন হয়ে থাকে। তবে এই বিষয় গুলোর সাথে পুষ্টি শিক্ষার সম্পর্ক রয়েছে। আগে মানুষ এই ব্যাপার গুলো জানত না। কিন্তু আজকাল মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে, তাই এখন শুধু সেই সচেতনাকে কাজে লাগানোর অপেক্ষা।

লিখেছেন: ফারিয়া ইসলাম

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *