আষাঢ় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে। ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে। বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর, আউশের খেত জলে ভরভর, কালী-মাখা মেঘে ও পারে আঁধার ঘনিয়েছে, দেখ্ চাহি রে। ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে। ওই ডাকে শোনো ধেনু ঘনঘন, ধবলীরে আনো গোহালে।Continue Reading

আমাদের ছোট নদী  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর   আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। পার হয়ে যায় গোরু, পার হয় গাড়ি, দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি। চিক্ চিক্ করে বালি, কোথা নাই কাদা, একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা। কিচিমিচি করে সেথা শালিকের ঝাঁক, রাতে ওঠেContinue Reading

ঐকতান  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর   বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি । দেশে দেশে কত-না নগর রাজধানী- মানুষের কত কীর্তি, কত নদী গিরি সিন্ধু মরু, কত-না অজানা জীব, কত-না অপরিচিত তরু রয়ে গেল অগোচরে। বিশাল বিশ্বের আয়োজন; মন মোর জুড়ে থাকে অতি ক্ষুদ্র তারি এক কোণ । সেই ক্ষোভে পড়ি গ্রন্থ ভ্রমণবৃত্তান্তContinue Reading

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ই মে, ১৮৬১ – ৭ই আগস্ট, ১৯৪১) ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি, গীতিকার, নাট্যকার, দার্শনিক, সুরকার এবং চিত্রকর। তিনি ভারতীয় সংস্কৃতির এক কিংবদন্তি চরিত্র হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম ভারতীয় হিসেবে ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। প্রাথমিক জীবন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরContinue Reading

সোনার তরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা। কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা। রাশি রাশি ভারা ভারা ধান কাটা হল সারা, ভরা নদী ক্ষুরধারা খরপরশা। কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা। একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা, চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা। পরপারে দেখি আঁকা তরুছায়ামসীমাখা গ্রামখানি মেঘে ঢাকাContinue Reading

তাহারেই পড়ে মনে সুফিয়া কামাল   “হে কবি! নীরব কেন-ফাল্গুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?” কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি- “দখিন দুয়ার গেছে খুলি? বাতাবী নেবুর ফুল ফুটেছে কি? ফুটেছে কি আমের মুকুল? দখিনা সমীর তার গন্ধে গন্ধে হয়েছে কি অধীর আকুল?”   “এখনোContinue Reading